শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২১ অপরাহ্ন
এক দশকের বেশি সময় পর তালা খুলে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করলেন যশোরের জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার বিকেলে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে শহরের ঢাকা রোডস্থ মোল্লাপাড়া মোড়ে দলের জেলা কার্যালয়ে প্রবেশ করেন সংগঠনটির জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর উপজেলা নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়টি তালা মেরে দেন। পরবর্তীতে তারা দলীয় কার্যালয়ে কোন প্রোগ্রাম না করলেও গোপনে বিভিন্ন মসজিদ ও বাসাবাড়িতে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। তবে ২০২১ সালে কার্যালয়টি পিতৃহীন, মাতৃহীন ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য তা’লীমুর কুরআন বালিকা শিশু মক্তব এবং আল হেলাল ইয়াতিমখানা ও ডে কেয়ার নামে দুটি মাদ্রাসা স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পাওয়ার পর থেকে জেলার জামায়াতের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সরব হয়েছেন। দীর্ঘদিন পর দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করার জন্য মঙ্গলবার দুপুর থেকে জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা জড়ো হন মোল্লাপাড়া মোড়ে জেলা কার্যালয় প্রাঙ্গনে। দুপুরের পর থেকে কার্যালয় প্রাঙ্গনে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে ফেলেন তারা। এদিন বিকেলে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কার্যালয়টির তালা খোলেন সংগঠনটির জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল।
গোলাম রসুল বলেন, ‘২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের উপর নির্যাতন করেছে। শুধু নির্যাতন নয়, জুলুম করেছে, হত্যা করেছে, গুম করেছে। এদেশের ইসলামী আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকা নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসি দিয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচারী সরকারকে আল্লাহর রহমতে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর রক্তের বিনিময়ে বিদায় নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। এদেশের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটানোর সৃষ্টি করা হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতাকর্মী এসব হামলার সঙ্গে থাকবে না। বরং তাদের পাহারা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে নিরাপত্তা দেবে। দেশে সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। সবাই এই দেশের নাগরিক। সবার জানমালের নিরাপত্তা দেবে জামায়াতে ইসলামী।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির বেলাল হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শামসুজ্জামান, মাওলানা রেজাউল করিম, অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আবুল হাসেম রেজা এবং নূর আলিনূর মামুন।